অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়াতে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে তার আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বলছেন, তিনি সমগ্র সিরিয়াকেই, তার ভাষায়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করবেন।
অন্যদিকে কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ এই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্যারান্টি চেয়েছে যে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হবে কিনা ।
কারণ বলা হয়েছে যে, ইসলামিক স্টেট ও আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গ্রুপগুলো এ যুদ্ধবিরতির মধ্যে পড়বে না এবং তাদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে লড়াই আগের মতোই চলছিল।
সোমবার সকালে মি. আসাদ একটি প্রতীকীগুরুত্বসম্পন্ন সফরে দারায়া শহরে যান।
রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে এই শহরে মাত্র গত মাসেই বিদ্রোহীরা চার বছরের অবরোধ প্রত্যাহার করে আত্মসমর্পণ করে।
আসাদ শহরের ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাগুলো দিয়ে হেঁটে গিয়ে সেখানকার একটি মসজিদে নামাজ পড়েন।
তার লক্ষ্য নিশ্চয়ই ছিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তার এই বিজয়কে সবার সামনে তুলে ধরা, যে বিজয় এসেছে ব্যাপক বোমাবর্ষণ এবং অবরুদ্ধ নগরবাসীদের অনাহারের বিনিময়ে।
সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, তিনি সমগ্র সিরিয়াকে বিদ্রোহীর হাত থেকে মুক্ত করবেন। প্রেসিডেন্ট আসাদ তার বিরোধী সব গোষ্ঠীকেই সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলছেন, এই সন্ত্রাসী সংজ্ঞার আরো তাৎপর্য রয়েছে, কারণ রুশ-মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় এই যুদ্ধবিরতি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সংশ্লিষ্ট জঙ্গী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে মস্কো এবং ওয়াশিংটন তাদের বিমান হামলা চালিয়ে যেতে চায়।
এখন এই বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর কোনো কোনোটি আমেরিকা এবং তার মিত্রদের সমর্থন পায়। এদের মধ্যে থেকে কারা কারা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট অতএব যুদ্ধবিরতির বাইরে – তা আলাদা করা সহজ নয়।
এ জন্যই বিরোধী গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দিহান। তারা জানতে চায় যে এর আওতায় কাকে কাকে সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কারণ তাহলে তারা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হবে।
তাই যুদ্ধবিরতি কতটা সফল হবে তা এখনো অন্য অনেককিছুর ওপর নির্ভরশীল।